অনলাইনে ইনকাম ২০২২, ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় ! ২০২২ সালের অনলাইন ইনকামের সেরা ও সঠিক গাইডলাইন

অনলাইনে ইনকাম ২০২২, ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় ! ২০২২ সালের অনলাইন ইনকামের সেরা ও সঠিক গাইডলাইন ৷

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ শিরোনামে আজকে আমরা ঘরে বসে অতি সহজে অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করা যায়, সে বিষয়ে এই article টিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

আজকাল বেশির ভাগ লোক ফেসবুকে ঢুকলেই অনেকেই প্রশ্ন করে কিভাবে অনালাইন আয় করা যায় ? কিভাবে ঘরে বসে অতি সহজে টাকা উপার্জন করা যায় ? কিভাবে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায় ? মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় ? ইত্যাদি ৷

অনেক ভাই বলে “আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং এর কাজ শুরু করবো ?” আমি তো এবিষয়ে নতুন, আমি ফ্রিলান্সিং এর কোন কাজটি আগে শিখবো । কোন কাজের চাহিদা বেশী ? কোথায় থেকে কাজ শিখবো ? ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং কি জিনিস ?

তো সকলের কথা বিবেচনা করে আজকে আমি ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন থেকে আয় করার উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দেবার প্রচেষ্টা করেছি মাত্র ৷

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ । শুরুতেই বলে নিচ্ছি আজকের আর্টিকেলটা কিন্তু অনেকটা বড় হবে । আর এই আর্টিকেলটি পড়লে আর কিছু জানতে হবে না ৷

কাজেই খুব সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে । আর আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্নই থাকবে না।

আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার এখন কি করা উচিত ৷ কিভাবে আপনি সামনে দিকে এগোবেন।

এই লেখাটি কাদের জন্য ?

১। যারা পড়ালেখা বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন থেকে সত্যিই কিছু ইনকাম করতে চান ৷

২। যারা অনেক ধৈর্য্যশীল ব্যক্তি

৩। যারা কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি

এই লেখাটি কাদের জন্য নয় ?

যারা মনে করেন দু’চার দিন অনলাইনে একটু সময় দিয়েই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায় ৷
পরিশ্রম না করেই শুধু টাকা ইনকামের আশা করেন ।
যারা অতি সল্প সময়েই কাজে অধৈর্য্য হয়ে যায়,
যারা আগে থেকেই সফলতার সাথে ফ্রিলান্সিং করতেছেন । ( কারন এই লেখাটি একদম বিগিনারদের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে )
যাই হোক ভুমিকাতে আর সময় নষ্ট না করে চলুন আমরা আমাদের মুল বিষয়ে চলে যাই ।

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ : অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় !

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ – Online Income 2022
এখন দুই হাজার একুশ । পৃথিবী এখন প্রযুক্তির উচ্চতর শিখরে অবস্থান করছে । পুরো বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নির্ভর । দৈনন্দিন জীবনের অতি সামান্য কাজ থেকে শুরু করে বৃহত্তম সকল কাজই এখন অনলাইনের উপর নির্ভরশীল ।

কেনা কাটা , লেখাপড়া ,অফিস-আদালত , মিটিং আদি ,ব্যাবসা ও বানিজ্য সবকিছুই হয়েছে অনলাইন উপর নির্ভর । এরইমধ্যে আপনি হয়তো শুনেছেন আপনার আশেপাশে অনেকেই অনলাইনে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করছে । আপনি হয়তো শুনে থাকবেন ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং এর নাম ।

আপনি হয়তো নিশ্চয়ই অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আগ্রহী । আজকাল সবাই চায় ঘরে বসে অনলাইন টাকা ইনকাম করতে কিন্তু অনেকে সঠিক গাইডলাইনের অভাবের কারনে তা করে উঠতে পারে না, আবার কারও ধৈর্য থাকে না । অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং প্রচুর ধৈর্য্য । তাহলে অনলাইনে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকম করা যেতে পারে ।

ফ্রিলান্সিং কি ?

এক কথায় উত্তর দিতে গেলে ফ্রিলান্সিং মানে মুক্ত পেশা । প্রচলিত চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামাফিক অর্থাৎ যেকোন ধরনের অনলাইন কাজ করার স্বাধীনতাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ।

যদিও আমাদের দেশে এখন আর ফ্রিলান্সিং বিষয়টি নতুন নয়, অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং জীবিকা রূপে গ্রহন করে নিয়েছে ৷

লেখাপড়া শেষে বা লেখাপড়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ এর প্রফেশনাল ক্যারিয়ার । ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অগণিত ডলারের একটা বিশাল মার্কেট ।

ইন্টারনেটের সাহায্যে এখন আপনি অতি সহজেই ঘরে বসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ।

কিভাবে আপনি ঘরে বসে আয় করবেন ?

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ । ২০২২ সালে কিভাবে আপনি ঘরে বসে আয় করবেন ? এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার আগে আমি পাঠককে আর একটি প্রশ্নের সম্মুখিন করি তা-হলো, আপনি কি কি কাজ করতে পারেন ?

আসলে টাকা ইনকাম করতে সবাই চায় কিন্তু সবাই কি টাকা আয় করতে পারে ?

লেখাপড়া তো অনেক ছাত্রই করে, সবাই কি পাশ করে ? অনেকেই তো চাকরির জন্য প্রচেষ্টা করে । কিন্তু সবাই কি চাকুরি পায় ? কেন পায় না ?

চাকুরি না পাওয়ার পিছনে প্রধান কারন দুইটি আছে বলে আমি মনে করি । তার এক নাম্বার কারণ হলো, প্রয়োজনীয় দক্ষতা / সঠিক অভিজ্ঞতার অভাব ।
দেখা যাচ্ছে চাকুরি দাতা যে কাজের জন্য লোক খুজঁছেন , সে কাজে কোন অভিজ্ঞ লোক পাচ্ছেন না। দুই নাম্বার কারন হলো,চাকুরির জন্য সঠিকভাবে ধৈর্য্য সহকারে চেষ্টা না করা ।

আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে ঘরে বসেই বিভিন্ন উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন । কিন্তু শুধু ইচ্ছে করে বসে থাকলেই ইনকাম আসবে না । তারজন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, ধৈর্য্য সহকারে কাজে মনোনিবেশ করতে হবে । তবেই আপনি সফলতা পাবেন ৷

যাই হোক অনলাইনে আয় করতে হলে , আপনাকে যেকোন কাজে নূন্যতম হলেও দক্ষতা থাকতে হবে । যদি কোনও দক্ষতা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আগে যেকোন একটি কাজ আগে শিখে নিন তারপর মাঠে নামুন ।

অনলাইনে ইনকাম করতে হলে প্রথম কোন কাজটি শিখবো ?

অনলাইনে ইনকাম ২০২২ , অনেকেই প্রশ্ন করেন, “ভাই আমি তো ফ্রিলান্সিং এ একদমই নতুন । প্রথমে কোন কাজটি শিখে অনলাইনে পয়সা উপার্জন করতে পারবো ? অনেকেই বলে আমার আর্থিক অবস্থা একটুও ভালো না, পারিবারিক সমস্যা !”
“আমি একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র,লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইনে কিছু টাকা পয়সা উপার্জন করতে চাই । আমার কিছু পরার্মশ চাই ।”

আমি সেই ভাইদের উদ্দেশ্য বলি, আপনি প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে শিখুন । বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি ।

বিভিন্ন কোম্পানি গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটারের কাজের ক্ষেত্র যেরকম ভাবে তৈরি হচ্ছে,ঠিক সেইভাবে অনলাইন মার্কেটিং প্লেসগুলোতেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোট ছোট কাজের জন্য ক্লায়েন্টরা প্রতিদিন জব পোষ্ট করে যাচ্ছে ।

এই দুটি ক্ষেত্র ছাড়াও নিজের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে । অল্প বাজেটে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তায় কাস্টমার এনগেইজমেন্ট থেকে শুরু করে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে ।

এখনও অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ডিজিটাল মার্কেটিং টা আবার কি জাদু ? শুদ্ধ বাংলা ভাষায় ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য সামগ্রীর প্রচারকে বোঝায় । ইন্টারনেট ব্যবস্থা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এরও আবার অনেকগুলো ভাগ আছে ৷ যেমন :-

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM )
ই-মেইল মার্কেটিং
কনটেন্ট রাইটিং
ফেসবুক মার্কেটিং
ইউটিউব মার্কেটিং
টুইটার/ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং
গুগল ডিসপ্ল্যে নেটওয়ার্ক
মোবাইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি ছাড়াও ঘরে বসে আরো যেসব উপায় অবলম্বনে ইনকাম করা যায় তা এখন ক্রমাগত আলোচনা করবো ।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম ২০২২

এই মুহূর্তে একটি এনড্রোয়েড মোবাইল আপনার হাতে আছে তাই না ?
কিন্তু আপনি কি একবার হলেও ভেবে দেখেছেন যে, আপনার হাতের এনড্রোয়েড মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেই ঘরে বসে আয় করা যেতে পারে ! আপনি নিজের শখের মোবাইল ফোন দিয়ে বেকারত্ব দুর করতে পারেন ।

আপনি কি একজন ছাত্র ? আপনার কি হাত খরচ প্রয়োজন ? কোন সমস্যা থাকবে না আপনার,একটি মোবাইল দিয়েই আপনার অর্থিক সমস্যা ঘুমোতে করবে৷

এখন সভাবতই আপনার মনে নিশচয় প্রশ্ন জাগবে “আমার তো মোবাইল আছে কিন্তু আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবো ?

আমি কি প্রতারিত হতে পারি, নাকি রোজগার করতে পারব ?

আপনার উত্তর হতে হবে হ্যাঁ । এবারে প্রশ্ন কিভাবে আয় করবেন ? ভয় পাওয়ার কোনো কিছু নেই । অনলাইনে আয় ২০২২: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ পদ্ধতি !

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকামের হাজারেরও বেশি উপায় আছে । আমি সবগুলি নিয়ে আলোচনা করবো না , যে মাধ্যমগুলি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে অল্প সময় দিয়েই অনেক ভালো পরিমান টাকা বিশ্বস্ততার সাথে আয় করতে পারবেন।

এখানে শুধু সেগুলি মাধ্যম নিয়েই আপনাদের সাথে কথা বলবো । আপনি যদি ধৈর্য্য সহকারে আমার দেখানো পথে কাজ করেন তাহলে মোবাইল দিয়ে ১০০% ইনকাম অবশ্যই হবে ।

😫সর্তকতা আপনি যখন গুগুলে সার্চ করেছেন ”মোবাইল দিয়ে ইনকাম ২০২২” দেখবেন হাজার হাজার রেজাল্ট আপনার সামনে হাজির হয়ে গেছে, কেউ আপনাকে গাইড করছে, এদিকে আসুন, আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন ! মোবাইল দিয়ে ইনকাম এবার হবেই ১০০% গ্যারান্টি !

এখন আপনাকে খুব সুক্ষভাবে বিবেচনা করতে হবে যে,এত অফারের মধ্যে কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক, কোনটি আসলে শিখিয়ে যাচ্ছে আর কোনটি প্রতারক চক্র, যদি কখনো প্রতারক চক্রের মধ্যে আপনি পড়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু অর্থ ও সময় এবং আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে ।

তো যা হোক আপনার টেনশনের কিছু নেই ৷ আমি এখন আপনাকে সুন্দরভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবো ২০২২ সালে কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

ইউটিউব থেকে আয় ২০২২ঃ

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে বড় সাধন বিশ্বাসযোগ্য ও সহজ পথ হচ্ছে ইউটিউব । ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি ।

প্রতিদিনর বিলিয়ন মানুষ এই ইউটিউব ব্যাবহার করছেন । আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে, তবে আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন ।

ইউটিউবে থেকে যে কোন বয়সের যেকোন লোক খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন । এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে । এবং যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় হবে ৷

প্রতিদিন হাজার মানুষ আপনার ভিডিও গুলি দেখবে, আর যখন আপনাআপনার ভিউস সংখ্যা বাড়বে । তখন আপনি ইউটিউবের শর্তাবলী জেনে ও মেনে আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করে নেবেন ।

আর যখন মনিটাইজেশন চালু হবে তখন আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শো করবে,কেউ যদি আপনার ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তবে আপনি টাকা পাবেন ।

আমি আমার পরিচিত অনেককেই দেখেছি যারা শুধুমাত্র ইউটিউবে কাজ করেই মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতেছে ৷
অনলাইনে ইনকাম ২০২২ ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায় ?

এতক্ষন তো জানলেন ইউটিউব থেকে ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় । আমি আপনাকে বলে দেব আপনি কিভাবে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করবেন ।

সর্বপ্রথমে আপনি ভেবে দেখুন তো, আপনি কি বিষয়ে একটু ভালো ভাবে বোঝেন । একটু ভাবলেই দেখবেন আপনি আপনার পছন্দের বিষয় পেয়ে গেছেন । কারণ, প্রতিটি মানুষেরই কোন না কোন বিষয়ে দক্ষতা আছেই ।

যেমন ধরুন কেউ কেউ খেলাধুলা খুব ভালো পারে এবং খেলা ধুলা সমন্ধে তার যথেষ্ট জ্ঞান আছে । এখন সে কিন্তু খেলাধুলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনরোচক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারে ।

তবে আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলোও আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দী করে আয় করতে পারেন অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন,সে বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও টিউটরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন । যে সব মেয়েরা ভালো রান্না করতে পারেন,তারা চাইলে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি টিপস্ ও সাজগোজের ভিডিও তৈরি করতে পারেন ।

আমার পরিচিত এক দাদা আছে ও যেকোন ধরনের ফোনের ফাংশন খুব ভালো বোঝে । এছাড়াও টেকনোলজি রিলেটেড বিভিন্ন বিষয়ে মোটামুটি অভিজ্ঞ ৷ তো আমি কোন একদিন ওকে পরার্মশ দিয়েছিলাম ”তুমি ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে তোমার দক্ষতা শেয়ার করে ইনকাম করো “ এখন অল্প সময়ের ব্যাবধানে মোটামুটি ভালো একটি রাশি ইনকাম করছে ঘরে বসেই ।

এখন অনেক কম দামেই ভালো রের্কডিং সিস্টেমের মোবাইল পাওয়া যায়,যা দিয়ে আপনি অতি সহজেই আপনার Voice Over করে ক্যামেরার সামনে না গিয়েও বিভিন্নি টিউটরিয়াল বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন ।

কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন,কারও কোন নকল ভিডিও কপি করে এটি করা যাবে না । এতে করে হিতের বিপরীত হতে পারে । কারণ সকলেরই জানা অবৈধ্য উপায়ে কিছু হাসিল করতে চাইলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন ।

ইউটিউবে উপার্জন করতে চাইলে যেসব জিনিস অবশ্যই জরুরীঃ

আপনার একটি এনড্রয়েড ফোন অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে । ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে । সর্বপ্রথম একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে ।
ইউটিউব চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন চালু রাখতে হবে ।
আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাবেন,সে বিষয়ে খুব স্বচ্ছতা ও সুন্দর ভিডিও ক্যাপচার করতে হবে ।
ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করা ভিডিও গুলি প্রফেশনাল ও সঠিক মানের এডিটিং করতে হবে । এডিটিং করা ভিডিও গুলি নিজের চ্যানেলে আপলোড দিয়ে
আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে করে আপনার ভিডিওর ভিউস বাড়াতে হবে ।

ব্লগিং করে ইনকাম ২০২২ঃ

আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেই ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে রোজগার করতে পারবেন । তবে এজন্য আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে এবং তা ধৈর্য্য সহকারে । একটু কষ্ট করলেই আপনিও আমার মতো অনেক ভালো আয় করতে পারবেন ব্লগিং করে ।

কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়?

ব্লগিং করে আয় করতে হলে সর্বপ্রথম আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন । ব্লগ ওয়েবসাইট আপনি ফ্রি ও পেইড দুভাবেই করতে পারেন,তবে শুরুতে পেইড এর প্রয়োজন হয় না ।

ফ্রিতে ব্লগ তৈরীর জন্য অনেক সাইট মেকার ওয়েবসাইট আছে, তারইমধ্যে জনপ্রিয় কিছু সাইট হল, ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার ডটকম এবং গুগল সাইট ৷ আপনি চাইলে ২০ মিনিটেই অনেক ভালোমানের ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরী করতে পারবেন ।

আবার আপনি যদি চান,তাহলে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ করে নিজের পছন্দমত নামে ডোমেন ও হোস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করতে পারেন ।

কিন্তু শুধু ব্লগ সাইট তৈরী করলেই হবে না । তাতে নিয়মিত কাজ করতে করতে হবে । নিয়মিত কনটেন্ট লিখে আপলোড করতে হবে । আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে,সেই বিষয় নিয়ে লিখে যাবেন । এ ক্ষেত্রে হয়তো প্রথম ২ থেকে ৩ মাস একটু কষ্ট করতে হবে । তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকলে চলবে না । আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে থাকেন । একসময় দেখবেন আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর আসতেছে । আর যখন দেখবেন আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর আসতেছে তখনই আপনি রোজগারের মুখ দেখতে পাবেন ।

আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হওয়ার পরেই , ব্যাংক থেকে আপনার টাকা তুলতে পারবেন ।

আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় ২০২২

বর্তমান সময় ফ্রিলান্সিং সেক্টরে আর্টিকেল রাইটারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি । এখন ভালো আর্টিকেল রাইটার পাওয়া খুবই মুশকিল । এই সেক্টরে দক্ষ লোকের খুবই অভাব ।

কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন তবে মোবাইল দিয়েই ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন । যদি আপনি প্রফেশনাল রাইটার হন তবে আপনি অবশ্যই কাজ পাবেন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২২ঃ
আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারেন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? –

অনলাইনের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়াকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে । যেমন একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি ।

ধরুন আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে, আমি আপনাকে বললাম যদি আমার একটি চুড়িদার বিক্রি করে দেন । তবে আমি আপনাকে প্রতিটি পিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্ট কমিশন আপনাকে দেব । সেটা হতে পারে ৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত ।

যদি একটি চুড়িদার পিসের দাম ৮০০ টাকা হয় তাহলে প্রতিটি পিস বিক্রিতে ৮% হিসেবে আপনি পাবেন ৬৪ টাকা। এইভাবে আপনি যত বেশী বিক্রি করতে পারবেন ততো বেশী আয় করতে পারবেন ।

আপনি যদি অনলাইনে বেশি পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা রোজগার করতে পারবেন ।

এখন আপনার এটা প্রশ্নও মনে জাগতে পারে যে, কিভাবে কোনও একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের হাতে পাবেন ও তা বিক্রি করবেন ? এই প্রশ্নের উত্তরটি হলো,তারা আপনাকে কোন প্রোডাক্ট হাতে দেবে না । তারা আপনাকে যা দিবে, সেটা হল গিয়ে প্রোডাক্টের শুধু একটি নির্দিষ্ট লিংক মাত্র ৷

উক্ত বিসনেসের উদাহরনটা আবার দেই, আপনি যদি আমার চুড়িদার পিসের এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন । তবে আমি সরাসরি আপনার হাতে চুড়িদার পিস ধরিয়ে দেব না ৷ আমি আপনাকে আমার ওয়েবসাইটের চুড়িদার পিসের লিংকটা দিয়ে দেব ।
আপনি এই লিংকটিকে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে যেখানে মানুষ আছে ৷ যারা চুড়িদার পিস কিনতে আগ্রহী, এরকম জায়গায় আপনি আমার থেকে পাওয়া চুড়িদার পিসের লিংকটি শেয়ার করবেন ।
আর আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্ট লিংক থেকে যদি কেই আমার চুড়িদার পিস কিনে, তবেই আপনার নির্দিষ্ট কমিশন নিজের Bank একাউন্টে পেয়ে যাবেন । এইভাবে যত বেশী মানুষ আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে প্রডাক্ট কিনবেন,ততো বেশী কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন । আশা করি বুঝতে অসুবিধে হয় ।

কিছু জনপ্রিয় এফিলিয়েট প্লাটর্ফম ২০২২ঃ
Amazon Associates. (সবচেয়ে বেশী পরিচিত)
eBay Partners.
Shopify Affiliate Program.
Click-bank.

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম ২০২২ঃ

আপনার যদি ছবি তোলার শখ থেকে থাকে বা আপনি যদি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন । তো আপনি ঘরে বসেই আপনার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন ।

আপনি আশে-পাশের পরিবেশ ও প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিসপত্র,খাবার,সহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে আয় করতে পারেন ।

অনেকেই আছে যারা শুধু ছবি তুলে সেটা বিক্রি করে মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার বা তার বেশীও ইনকাম করে ঘরে বসেই ।
যে সমস্ত সাইটে ছবি বিক্রি করতে পারেন :-

Sell Photos Online ২০২২
500px.com
shutterstock.com
envato.com
stock.adobe.com
imagesbazaar.com
ফোটোলিয়া ইত্যাদি ৷😙

ই-কমার্স সাইটের থেকে আয় ২০২২ঃ

আপনি ইচ্ছে করলে একটি ই-কর্মাস সাইট তৈরি করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন । এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ই-কার্মাস সাইট টা আবার কি জিনিস ? আর এই সাইট থেকেই বা কিভাবে আয় করা যেতে পারে ?

.ই-কর্মাস সাইটের অর্থ হলো একটি অনলাইন দোকান । আপনার গৃহের পাশের মুদির দোকানে যেমন বিভিন্ন জিনিস সাজানো গোছানো থাকে ৷ লোকজন দোকানে আসে এবং জিনিস পত্র কিনে । ঠিক তেমনি অনলাইনে কোন সামগ্রী কেনার দোকান কে বলে ই-কর্মাস সাইট ।

ই-কর্মাস সাইট থেকে কিভাবে আয় করবো ?

ই-কর্মাস শুরু করতে হলে আপনার একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন,যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব পন্যগুলি মুদি দোকানের মত সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারবেন । ক্রেতা বা অনলাইন গ্রাহকরা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে ও পণ্য দেখবে এবং অর্ডার করবে ।

প্রথমাবস্থায় একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যেমে আপনি ই-কার্মাস বিসনেস শুরু করতে পারেন । এবং সেটা আপনি একটি মোবাইল ফোন দিয়েও করতে পারবেন ।

আপনি যে অনলাইন স্টোরটি তৈরি করবেন, তার একটি ইউনিক নাম দিয়ে সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড ফেসবুক পেজ খুলবেন । এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্টোর ছবি ও দাম সহ বিস্তারিত বর্ণনা করবেন ।ফেসবুক পেজটিতে আপনার প্রোডাক্টের বিস্তারিত পোষ্ট তৈরি হলে আপনি আপনার পেজেটিকে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করে দিবেন ।

এই ভাবে পেজে ভিজিটর সংখ্যা বাড়লে আপনার বিক্রিও বাড়বে । ঠিক যেমন অফলাইনে নতুন কোন দোকান উদ্ভোদন হলে নানান ধরনের পোস্টারিং, লিফলেট, মাইকিং সহ কত রকমের প্রচার করা হয় ৷ শুধু মাত্র দোকানের গ্রাহক বাড়ানোর জন্য দোকান এই রকম উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷

ঠিক তেমনি অনলাইনেও আপনি যখন একটি ই-কর্মাস সাইট বানাবেন, আপনাকে আপনার সাইটের প্রচার প্রসার করতে হবে ভিজিটরদের কাছে ৷ আর যখনই আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে তখনই আপনার বিক্রি ও আয় দুইটিই হবে ।

ই-কমার্স সাইট থেকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক ও ট্রিক্স এর অবলম্বন করতে হবে । আপনার নিকটবর্তী সেই সব পন্য নিয়ে কাজ করুন, যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরাচর পাওয়া যায় না । মানুষের হাতের কাছে ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বীতার মার্কেটের তুলনায় কিছুটা হলেও কম মূল্যে ৷

সার্ভে করে ইনকাম ২০২২ঃ

আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে সার্ভে করে টাকা আয় করতে পারবেন । অনেকেই জানেন না সার্ভে কি ? সার্ভে হল মতামত নেওয়া । বাংলা ভাষায় বলা হয় জরিপ । সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য দ্রব্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে ।

আর এই সার্ভেতে যারা অংশগ্রহণ করে তাদেরকে অর্থ প্রদান করা হয় । সার্ভের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে । আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য ১ ডলার থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন ।

জনপ্রিয় কিছু সার্ভে সাইট ২০২২ঃ

SwagBucks
OnePoll
Branded Surveys
Toluna
InboxPounds

ফেসবুক থেকে আয় ২০২২ঃ

ফেসবুক সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবহিত ৷ ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করে, ভিডিও দেখে অযথা নিউজফিট স্ক্রল করে আমরা অনেক সময় নষ্ট করি । কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই এবং একটু কষ্ট করি তাহলে এই ফেসুবক থেকেই ভালো পরিমান টাকা আয় করা যেতে পারে । কি বিশ্বাস হচ্ছে কি না ? চলুন বিস্তারিত অলোচনা করি, কিভাবে আপনি ফেসবুক থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করবেন ।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়ঃ

ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে বা লাইভ ভিডিও করে টাকা রোজগার করা যায় । ফেসবুকের এড সুবিধার মাধমে আপনি আপনার ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ৷

আপনার আপলোড করা ভিডিও গুলিতে ফেসবুক বিভিন্ন কম্পানির এড চালাবে ৷ আর সেই এডে যদি কেউ ক্লিক করে,তবে সেই অ্যাড থেকে আয়ের কিছু অংশ আপনি পাবেন । তবে এডব্রেকস এর সুবিধা পেতে আপনাকে কিছু আবশ্যিক শর্তাবলী পুরুন করতে হবে ।

যেমনঃ

১। দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে ।

২। অবশেষের ৬০ দিনে ১,৮০,০০০ মিনিট দর্শক দ্বারা ভিডিও প্রদর্শিত হতে হবে এবং ৩০,০০০ মিনিট ভিউস হতে হবে ও ৩ মিনিটের বেশী সময়ের ভিডিও হতে হবে ।

৩। শেষ ৬০ দিনে ১৫,০০০ হাজার মানুষের কাছে আপনার পোস্টটি পৌছাতে হবে ৷

লাইভ করে টাকা আয় করতে চাইলে শর্তাবলী গুলি হলোঃ

১। ভিডিও চার মিনিটের হতে হবে ।

২। ৩০০ জন মানুষ দেখতে হবে ।

এই শর্তগুলি মানা হলে তবেই আপনি Adverticement সুবিধার পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ।

শর্ট লিংক শেয়ার করে আয়

আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের শর্ট লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারবেন। ধরুন আপনি একটি ডাউনলোড লিংক শেয়ার করতে চান ৷

এবারে আপনি ঐ প্রোডাক্ট/অ্যাপস এর লিংকটা শর্ট লিংক করার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে শর্ট করে, আপনি আপনার ফেসবুকে পেজে প্রচার করলেন । এরপর আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি ডাউনলোড করে,তবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু এমাউন্ট কমিশন স্বরূপ পাবেন ।

কিছু জনপ্রিয় শর্ট লিংক সাইট ২০২২ঃ
Shorte.ST
Bitly.com
Adf.LY
Ouo.IO
ShrinkMe.IO
Shortzon.COM

ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়ঃ

আপনার কাছে যদি বেশি ফলোয়ার যুক্ত ফেসবুক পেজ থাকে, তাহলে আপনি সেটা বিক্রি করে তার বিনিময়ে টাকা নিতে পারেন । অনেকেই আছে যারা শুধু পেজ তৈরী করে এবং সেই পেজ জনপ্রিয় করার পরে তা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে ।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়ঃ

আপনার মালিকানায় যদি কোন বড় গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই গ্রুপ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন । আমার পরিচিত এক দাদা আছে সে প্রতি মাসে ফেসবুক গ্রুপ থেকে প্রায় ৫০,০০০ টাকা আয় করে ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয় ২০২২ঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেও ঘরে বসে অনলাইনে অনেক ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারেন । অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার মার্কেট প্লেসে আপনি আপনার তৈরি করা ডিজাইন গুলি রেখে দিবেন,সেখান থেকে আপনার ডিজাইন গুলি বিক্রি হতে থাকবে ৷ আপনি শুধু ঘরে বসে টাকা গুনবেন ! কি ব্যাপারটা মজার কি না ?

ব্যাপারটা মজার হলেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনাকে অনেক কিছুই করতে হবে । সর্ব প্রথম আপনার ভালো মানের একটা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ লাগবে ৷ ধৈর্য্য ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই
গ্রাফিক্স ডিজাইনে টাকা গুনতে পারবেন ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় এডোবি ফটোশপ এবং ইলিস্ট্রটর দিয়ে শুরু করতে পারেন ৷

গ্রাফিক্স ডিজাইনে সাধারণত যেসব কাজ করা হয়ে থাকে :
১৷ লোগো ডিজাইন
২। ব্যানার ডিজাইন
৩। পোষ্টার ডিজাইন
৪। কভার ফটো ডিজাইন
৫। ফটো এডিটিং
সহ সকল প্রকার ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেসকল ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেনঃ
Fiver.com
Upwork.com
Freelancer.com
Toptal.com
99designe.com
Guru.com
Peopleperhour.com
ইত্যাদি অনেক ওয়েবসাইট আছে এই ধরনের, যেখান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য গ্রাহক খুঁজে পেতে পারেন ।

যে সমস্ত সাইটে আপনি আপনার ডিজাইন রেখে বিক্রি করতে পারবেন ৷

১। stocksnap.io
২। pexels.com
৩। landingstock.com

ওয়েব ডিজাইনিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় ২০২২ঃ

বর্তমানে সময়ে মানুষ যে হারে অনলাইনের দিকে ঝুকছে, সকলে এখন অনলাইন মুখি, কেনা-কাটা, ব্যাবসা-বানিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা, খাদ্য-বস্ত্র সব কিছুই এখন অনলাইনে অনায়াসে পাওয়া যাচ্ছে ।

আর অনলাইন মানেই ওয়েব সাইট । ঠিক এই মুহুর্তে আমার যে লেখাগুলো পড়ছেন এটাও একটি ওযেব পেজের মাধ্যমে । অর্থাৎ আপনি অনলাইনে যা কিছুই দেখেন সবই ওয়েব পেজ । আর এরকম কতগুলি ওয়েব পেজ একত্র হয়েই তৈরি হয় একটি সুন্দর ওয়েবসাইট ।

এই যে আপনি এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের নানান রঙ বেরঙের ওয়েব পেজ প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন, এগুলি কি আপনা আপনিই তৈরী হয়েছে উওরে হবে না ? এই পেজ গুলি কেউ না কেউ ডিজাইন করেছে ৷
আর যিনিই বা ডিজাইন করেছেন তিনি কি ফ্রিতেই এইকাজ গুলি করেছেন ? মোটেও না ।

বর্তমান সময়ে যেহেতু ব্যাপকহারে মানুষজন অনলাইনের দিকে ঝুকছেন আর অনলাইন মানেই যেহেতু ওয়েব পেজের সমষ্টি ৷ তাহলে আপনি নিজেই একটু বিশ্লেষণ করে দেখুন যে ওয়েব ডিজাইনার আর ডেভেলপারদের চাহিদা কেমন আছে । আর যার চাহিদা যত বেশী তার রোজগার ততো বেশী ।

আপনার যদি কোডিং ডিকোডিং করার শখ থেকে থাকে ৷ ক্রিয়েটিভ কিছু করার ইচ্ছে থাকে, আপনি যদি কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি হন, আপনি যদি অনলাইনে সম্মানের সাথে ঘরে বসে ভালো অংকের টাকা উপার্জন করতে চান, তবে আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শিখা সবচেয়ে উওম ।

তবে এক্ষেত্রে আমি সাজেষ্ট করছি,আপনার হাতে যদি কমছে কম ২ বছর শেখার সময় থাকে,তবেই আপনি ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য অগ্রসর হন, অল্প সময়ে এই সেক্টরে ভালো কিছু শিখতে পারবেন না । তবে যারা এক্সট্রা ট্যালেন্টেড তাদের কথা ভিন্ন ৷

ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন ইনকামের জন্য কেমন পিসি দরকার?
অনেকেই এই কমন প্রশ্নটি প্রায়ই করেন । নতুন হিসেবে এই প্রশ্ন করাটাও স্বাভাবিক।
আসলে ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন আয়ের জন্য আপনার বর্তমানে যে computer আছে বা যদি আপনি নতুন কিনতে চান তবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের কম্পিউটার দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন । আপনি চাইলে বেশী দামের পিসিও কিনতে পারেন,সেটা আপনার উপর ।

একটা প্রবাদে আছে “যতো গুর ততো মিঠা” যতো ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনবেন কাজ করেও ততো টাই মজা পাবেন ।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা ভারি কোন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে চাইলে, আপনাকে হাই কনফিগারেশনের দামী কম্পিউটার কিনতেই হবে । আশা করি বুঝতে পারা গেছে ।

অনলাইনে ইনকামের নামে প্রতারণার শিকারঃ

ইদানিং অনেক সাইট দেখতে পাওয়া যায়,যারা কিনা ইনভেস্ট করানোর নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে ৷ এই সাইট গুলিতে কেউ ভুলেও কোন রকম ইনভেস্ট করবেন না । এরা আপনার থেকে বিভিন্ন প্যাকেজে সর্বনিম্ন ২০ ডলার থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনভেষ্ট করাবে । বিনিময়ে আপনাকে প্রতিদিন ফেসবুক এবং টিকটক এর ভিডিও দেখিয়ে আপনাকে টাকা দিতে থাকবে । শুরুতে কিছু দিন দেওয়ার পর তা বন্ধ করে দিবে ৷ তাই আমি বলি একটু পরিশ্রম করুন নিজের স্কিল ডেভেলপ করুন ৷ তখনই দেখবেন টাকা আপনার পিছনে ঘুরছে । আপনাকে টাকার পিছনে দৌড়াতে হবে না ।

উপসংহারঃ

এতক্ষণ যারা ধৈর্য্য সহকারে পুরো লেখাটা পড়েছেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । তবে অনেকেই আছেন যারা পুরো লেখাটা পড়ার পর ভাবতে পারেন “কোন কাজই শিখতে পারলাম না !”
আমি কিন্তু এই আর্টিকেল এর শুরুতেই বলেছিলাম যে,এইটি শুধু মাত্র গাইড লাইন মূলক লেখা ৷ এটি পাঠ করে আপনি ফ্রিলান্সিং এর উপর একটি পূর্নাঙ্গ ধারণা পাবেন ৷ কিভাবে কাজ শুরু করবেন এসব নিয়ে লেখা ।

এখানে সরাসরি ভাবে কোন কাজ শেখানো হয়নি । তবে যেসব বিষয় নিয়ে আমি এই আর্টিকেলটি উল্লেখিত করেছি,সেই প্রত্যেকটি বিষয়ে কিভাবে কাজ করে আয় করবেন ৷ সেগুলো আপনাদের আলাদা করে শেখানো হবে ৷ নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইটে খুব শিঘ্রই পেয়ে যাবেন সবকিছু ।

আর এছাড়াও প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে জানতে হলে,আপনি গুগলে অথবা ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন, সার্চ করা রেজাল্ট থেকে যেকোন ভালো ভিডিও ফলো করুন, আপনি একাই একাই সব কিছু শিখে যাবেন ৷ কোথাও কোন প্রকারের টাকা দিয়ে কোর্স করে শিখতে হবে না ।
কর্ম করেই যান,ফলের আশা করেন না ৷
ফল আপনা আপনি এসে যাবে ৷
তবে কর্মের মধ্যে কোন ঘাটতি রাখলে
চলবে না ৷ নিরলস কর্ম করেই যান, আর
নিজের কর্মেই নিজের ভাগ্য নির্ধারণ করে ৷
তুমি তোমার নিজের ভাগ্য,
নিজেই তৈরি করতে পার ৷

আরও পড়ুন