ডিজিটাল মূদ্রা (Crypto currency) ব্যানের খবর ছড়াতেই হু হু করে ভারতে কমলো Bitcoin সহ Ether-এর দাম ৷
গত বুধবার সরকারের তরফে একটি নতুন অর্থনৈতিক বিলের মাধ্যমে ভারতের প্রায় সমস্ত প্রাইভেট ক্রিপ্টো কারেন্সি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্রিপ্টো বাজারে ধ্বস নামতে শুরু করেছে ৷
গত সপ্তাহে আকাশছোঁয়া সর্বোচ্চ রেকর্ড মূল্যে ট্রেড করার পর, খানিকটা ছেদ পড়েছিল বিটকয়েন (Bitcoin) সহ অন্যান্য জনপ্রিয় মুদ্রা গুলির বাজারদরে। তবে গত বুধবার কেন্দ্রের তরফে সংশ্লিষ্ট ঘোষণাটির পর যেন একধাক্কায় আরও পতন হল বিটকয়েন ও ইথার (Ether) coin এর ট্রেডমূল্য ।
আজকের হিসেবে অধিকাংশ জনপ্রিয় কয়েনগুলির বাজারদর ১০ শতাংশেরও বেশী নেমে গিয়েছে । বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ডিজিটাল ক্রিপ্টো কয়েন বিটকয়েনের বাজার মূল্যে দেখা গিয়েছে ১৫% পতন। ইথার (Ether) ও টেথার (Tether) ও যথাক্রমে ১৫% ও ১৮% মূল্য হ্রাস হয়েছে ।
বর্তমান সময়ে ভারতীয় এক্সচেঞ্জের হিসেব অনুযায়ী, দেশীয় বাজারে বিটকয়েনের বাজারদর ৫৪,৩৭৩.১০ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় ৪০,৮০,৩২০.৫৪ টাকার সমান এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যবান মুদ্রা, ইথারের বাজারদর ৪,১০৬.৬০ মার্কিন ডলার।
গত বুধবার প্রকাশিত সরকারী তথ্য থেকে জানা যায় যে আগামী নভেম্বরের ২৯ তারিখে পার্লামেন্টের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অব্ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১’ নামে একটি নতুন অর্থনীতি সম্বন্ধিত বিল পেশ করা হবে ।
বিলটির দ্বারা সম্ভবত দেশজুড়ে বেশিরভাগ প্রাইভেট ক্রিপ্টো মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হতে পারে । তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার কে তুলে ধরতে ও জানতে, দেশের গুটিকয়েক প্রাইভেট ক্রিপ্টো মুদ্রা অবশ্য ছাড়পত্র পেতে পারে বলে সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে ।
ভারত সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী যথাশীঘ্রই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গোটা দেশজুড়ে একটি একক অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে । এটি আসন্ন অফিশিয়াল কারেন্সি টির জন্য একটি সঠিক পরিকাঠামো প্রদান করাই মূলত নয়া অর্থনৈতিক বিলটির উদ্দেশ্য ।
প্রসঙ্গত অনেক দিন ধরেই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত টাকার নিরাপত্তা ও রাতারাতি গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ মাধ্যমগুলির, নানা বিভ্রান্তমূলক বিজ্ঞাপন দ্বারা যুবসমাজ কে প্রলোভিত করার প্রবণতার বিষয়টিতে কড়া নজর ছিল কেন্দ্র সরকারের । আসন্ন আইনটি নিয়ে সকলের মনে অনেক দুশ্চিন্তা রয়েছে ৷ যদি আইন প্রনয়ন হয় তবে এইসব অবাঞ্ছিত প্রচারে লাগাম টানবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট মহল ।
সম্প্রতি সিডনি ডায়ালগের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ক্রিপ্টো বিষয়ে গোটা বিশ্ব কে কড়া হুঁশিয়ারি তথা কড়া বার্তা শোনান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । বিশ্বের বড় বড় গণতন্ত্র দেশগুলিকে ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একজোট হতেও অনুরোধ জানান তিনি ।
পাশাপাশি কিছুদিন পূর্বেই দেশের খুচরো ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই , অনিয়ন্ত্রিত তথা বেপরোয়া ক্রিপ্টো বাজার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ্ ইন্ডিয়া ও সংস্থা SEBI ।